১৫ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩১শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রচ্ছদ ময়মনসিংহ নরসুন্দদের মাঝে ১০ টাকায় দুদিনের আহার বিক্রি করে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ
৮, জুলাই, ২০২১, ৭:৫২ অপরাহ্ণ - প্রতিনিধি:

ময়মনসিংহ অফিসঃ

ময়মনসিংহে ”সবার রান্না ঘরে ভাতের গন্ধ ছুটুক” এ প্রতিপাদ্য নিয়ে জেলা পুলিশ দুঃস্থ/কর্মহীনদের জন্য সল্প মুল্যের দোকান ১০ টাকায় দু’দিনের আহার বিক্রি করেছে । বৃহস্পতিবার নগরীর মহারাজা রোডের মুকুল নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ে দ্বিতীয়দিনের মত এই আহার বিক্রি করে জেলা পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) প্রতীকি মুল্যে আহার বিক্রি উদ্বোধন করেন।

এর আগে গতকাল বুধবার এই কার্যক্রম টাউনহল মোড় সংলগ্ন পুলিশ অফিসার্স ক্লাব মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ময়মনসিংহের মানবিক পুলিশ সুপার মোহাঃ আহমার উজ্জামান।


এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার ফজলে রাব্বী সাংবাদিকদের বলেন, লকডাউনের বিধি নিষেধের কারণে রাস্তায় বের হওয়া কর্মহীন দুস্থ মানুষজনকে আমরা ঘরে ফেরৎ পাঠাচ্ছি। পাশাপাশি সেই সব অনাহারী পরিবারে উদ্ভুত মানবিক বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিচ্ছি। সেই ভাবনা থেকেই মানবিক পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান স্বেচ্চা অনুদানের অর্থে এই কর্মসুচী হাতে নিয়েছেন। লকডাউন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই আহার বিক্রি চলমান থাকবে।
তিনি আরো বলেন, বুধবার হকার ও অসহায় নিরন্ন মানুষদের মাঝে প্রতিকীমুল্যে আহার বিক্রি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ৮ জুলাই নরসুন্দুরদের (নাপিত) মাঝে আহার বিক্রি করা হয়। এ সময় তিনি আরো বলেন, যারা লকডাউনের কারণে তাদের পেশা হারিয়ে বেকার এবং কর্মহীন হয়ে পড়েছে আমরা খুঁজে খুঁজে তাদের মাঝে প্রতিকীমুল্যে আহার বিক্রি করছি। নগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে প্রতিদিন জেলা পুলিশ ঘুরে ঘুরে আহার বিক্রি করবে। এ জন্য জেলা পুলিশ আগে থেকে অসহায়, বেকার, কর্মহীন ও দুঃস্থদের তালিকা করবে।
তিনি আরো বলেন, একটি পরিবারের দু’দিন চলবে সেই পরিমান খাদ্যপন্য দেওয়া হচ্ছে। বিতরনকৃত খাদ্যপন্যের মধ্যে ছিল, পাচ কেজি চাউল, এক কেজি ডাল, আধা লিটার সয়াবিন তৈল, আধা কেজি লবন, আলু দুই কেজি, পরিমানমত মশলা, পেয়াজ, রসুন ও কাচা মরিচ ।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবু রায়হান, ফাল্গুনী নন্দী, হাফিজুর রহমান, আলাউদ্দিন, কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ ( ওসি) ফিরোজ তালুকদার, ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দ, ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (প্রশাসন) সৈয়দ মাহবুবুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।